চাঁদ ও মঙ্গলে বসতি গড়ার পথে নাসা, নির্মাণসামগ্রী যাবে না পৃথিবী থেকে

আরিফুল ইসলাম , প্রকাশ:31 মে 2025, 02:18 দুপুর
news-banner

মহাকাশ আর স্বপ্ন নয়, এবার বাস্তবের পথে। চাঁদ কিংবা মঙ্গলগ্রহে মানুষ বসবাস করবে—এমন ভবিষ্যতের কথা শুনলে অনেকে এখনও হাসেন। কিন্তু, নাসা এখন এই কল্পনাকে বাস্তবতায় রূপ দেওয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নাসা এমন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যার মাধ্যমে পৃথিবীর বাইরেই নির্মাণকাজ করা সম্ভব হবে, কোনো ভারী উপকরণ বহন না করে। মজার ব্যাপার হলো—এই নির্মাণের উপাদান আসবে সেই গ্রহ বা উপগ্রহ থেকেই।

রেগোলিথই হবে ভবিষ্যতের ইট-বালি

নাসার পরিকল্পনা অনুযায়ী, চাঁদ ও মঙ্গলের মাটির উপরিভাগে যে ধুলো বা গুঁড়ো মাটি রয়েছে—তাকে বলা হয় রেগোলিথ। এই উপাদান দেখতে হালকা হলেও, প্রযুক্তির সাহায্যে গলিয়ে সেটিকে শক্ত কাঠামোতে রূপান্তর করা সম্ভব। এখান থেকেই তৈরি হবে ভবিষ্যতের “চাঁদের বাড়ি”।

রোবট আর থ্রিডি প্রিন্টিং বদলে দেবে ভবিষ্যৎ

এই নির্মাণ প্রক্রিয়ায় থাকছে রোবোটিক থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি, যা মাটির গুঁড়োকে গলিয়ে একটি যন্ত্রের মাধ্যমে ধাপে ধাপে প্রিন্ট করে দেওয়াল ও স্থাপনা তৈরি করবে। এই নির্মাণ এমনভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে যাতে তা চাঁদের তীব্র বিকিরণ বা তেজস্ক্রিয়তা থেকেও সুরক্ষা দিতে পারে।

পানির ব্যবস্থা? মাটির ভেতরেই আছে সম্ভাবনা

পানির অভাব থাকবে না বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, রেগোলিথ থেকেই রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল বা তরলীয় উপাদান নিষ্কাশন করা সম্ভব হতে পারে। ফলে বহির্জগতের নির্মাণে পৃথিবীর উপর নির্ভরতা কমবে।

নাসার চূড়ান্ত লক্ষ্য: মহাকাশে মানুষের বসতি

এই উদ্যোগ শুধুই গবেষণা বা সাময়িক স্থাপনার জন্য নয়। নাসার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হলো—চাঁদ ও মঙ্গলের মাটিতে টেকসই, নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য ভবন গড়ে তোলা, যেখানে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে পারবেন, এমনকি ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষেরও বসবাস সম্ভব হবে।

মুল্যবান মন্তব্য করুন