মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

রুহুল আমিন, বিশেষ সংবাদদাতা : , প্রকাশ:09 জুলাই 2025, 06:58 বিকাল
news-banner

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারত ও বাংলাদেশ বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন উত্থাপন করেন উপস্থিত এক সাংবাদিক। তবে সেসব প্রশ্নের কোনো স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে বিষয়গুলোকে “জটিল কূটনৈতিক প্রসঙ্গ” হিসেবে উল্লেখ করেন মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক কোয়াড জোট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার একপর্যায়ে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন,
“গত সপ্তাহে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে বিমানবন্দরের চেকিংয়ে একটি বন্দুকের ম্যাগজিন পাওয়া গেছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, এটি ২০২৪ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যবহৃত অবৈধ গোলাবারুদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।”

তবে প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই তাকে থামিয়ে দেন মার্কিন মুখপাত্র।

পরবর্তী পর্যায়ে সাংবাদিক বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরেন। এর মধ্যে ছিল রাজধানীর খিলক্ষেতে রেলওয়ের জমিতে নির্মিত পূজামণ্ডপ গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এবং লালমনিরহাটে এক হিন্দু নাপিতকে আটকের বিষয়টি।

সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন,
“ভারত ও বাংলাদেশের বিষয়টি একটি জটিল ও বিস্তারিত কূটনৈতিক প্রসঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্র এটি গভীরভাবে বোঝে।”

তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করবে এবং অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা তাদের নীতির পরিপন্থী। কোয়াড বৈঠক নিয়ে বিস্তারিত জানতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর একক বিবৃতি এবং কোয়াড অংশীদারদের যৌথ বিবৃতি পড়ার পরামর্শ দেন তিনি।

📌 উল্লেখযোগ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নজর কেড়েছে। তবে বড় শক্তিগুলো এখনো এ বিষয়ে প্রকাশ্য অবস্থান নিতে বেশ সংযত মনোভাব দেখাচ্ছে।

মুল্যবান মন্তব্য করুন