চট্টগ্রামে ছাত্রশিবিরের ওপর ছাত্রদলের হামলা, যা বললেন সাদিক কায়েম

আরিফুল ইসলাম , প্রকাশ:01 জুন 2025, 02:00 রাত
news-banner

‘ভালো কাজের প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা, কিন্তু সেখানে ভালো কাজ বন্ধ করতে সন্ত্রাসী হামলার পথ বেছে নিয়েছে ছাত্রদল’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম।

শনিবার (৩১ মে) চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ছাত্রশিবিরের ওপর ছাত্রদলের হামলার পরপরই বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এ মন্তব্য করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই নেতা। সেই পোস্টের সঙ্গে একটি ভিডিও জুড়ে দেন তিনি।

সাদিক কায়েম বলেন, চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ছাত্রশিবিরের ওপর হামলা করেছে ছাত্রদল। অপরাধ—ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে ‘হেল্প ডেস্ক’ বসিয়েছে। ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা হেল্প ডেস্ক ভাঙচুর করে। হামলা করে সেখানকার দায়িত্বরত ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের ওপর।

একইভাবে রংপুর পুলিশ লাইনসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রশিবির ফ্রি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে। নারকীয় কায়দায় সেখানে হামলা করে চিড়িয়াখানা গ্যারেজ কর্তৃপক্ষ।

ছাত্রশিবিরের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। এমনকি ছাত্রকল্যাণমূলক কাজেও তারা হামলার শিকার। যেখানে ভালো কাজের প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা, সেখানে ভালো কাজ বন্ধ করতে সন্ত্রাসী হামলার পথ বেছে নিয়েছে ছাত্রদল।

ছাত্রদলের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে মারামারি আর খুনোখুনির রাজনীতি ফিরে আসছে ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাস রুখে দেওয়া না গেলে সন্ত্রাসীদের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক সংগঠন তো বটেই, আগামীতে কেউ এই সন্ত্রাস থেকে রেহাই পাবে না।

আমরা সতর্ক করছি, সন্ত্রাসের পথ বেছে নিলে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। এই ছাত্র-জনতা জুলাইয়ের যোদ্ধা—কোনো নিপীড়ন ও সন্ত্রাসের মুখে তারা মাথানত তো করবেই না, বরঞ্চ এসব সন্ত্রাসীদের পদানত করে ছাড়বে, ইনশাআল্লাহ।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ছাত্রশিবিরের ওপর হামলা চালায় ছাত্রদল। এতে শিবিরের অন্তত ৪ জন কর্মী আহত হয়েছেন।

শনিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কলেজের সামনে একটি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছিল ছাত্রশিবির। সেখানে আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বসে বিশ্রাম নেওয়া, পানি পান ও তথ্য জানার ব্যবস্থা ছিল।

মুল্যবান মন্তব্য করুন