বিসিবি সভাপতি ফারুককে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি

, প্রকাশ:29 মে 2025, 11:59 রাত
news-banner

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো: আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সরকারি চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিসিবির গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৩.২(খ)(৪) অনুযায়ী এবং চলমান অনাস্থা পরিস্থিতি ও স্বাধীন তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে চিঠি দিয়েছেন বিসিবির আট পরিচালক।

পরিচালকরা হলেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম, মাহবুব আনাম, ফাহিম সিনহা, স্বপন চৌধুরি, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম আহমেদ, মঞ্জুর আলম ও মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তবে তালিকায় নেই আকরাম খানের নাম।

চিঠিতে তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগ তুলে তাকে সভাপতির দায়িত্ব তো বটেই, পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবিও জানান পরিচালকরা।

চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, বিসিবিতে বিভিন্ন কমিটির প্রধান হিসেবে তারা নিজেদের মতামত দিতে পারছেন না। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও তাদের মতামত নেয়া হয় না বলে অভিযোগ তাদের।

এরও আগে, দিনভর তার পদত্যাগের গুঞ্জনের মাঝেই বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত জানান ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পদত্যাগ করব না আমি, কোনো কারণ নেই। কেউ কোনো কারণ দেখাতেও পারেনি।’

এর কিছুক্ষণ পরেই আট পরিচালকের অনাস্থার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তিন পৃষ্ঠার সেই চিঠিতে ফারুক আহমেদের নানা অপকর্মের বিবরণ তুলে ধরা হয়। যেখানে সবার শেষে ছিল আট পরিচালকের সাক্ষর।

ফলে এখন ফারুক পদত্যাগ না করলেও আর বিসিবিতে থাকতে পারবেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার পরিচালক পদ বাতিল হয়ে যাবে।

যদিও এখনো হার মানতে রাজি নন ফারুক আহমেদ। চিঠি পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফারুক আহমেদ জাতীয় একটি দৈনিকে বলেন, ‘কিছু একটা তো অবশ্যই করব। আমি আমার আইনজীবীর সাথেও কথা বলে রাখছি। প্রয়োজন হলে আমি আইনিব্যবস্থা নেব।’

ফারুক মনে করেন, এমন অনাস্থায় কিছুই যায় আসে না, ‘অনাস্থার কোনো সুযোগই বিসিবির গঠনতন্ত্রে নেই। তাই অনাস্থায় কিছু এসে যায় না। হয় এই বোর্ড রাখবে, না হয় ভেঙে দেবে।’

এদিকে, ফারুক আহমেদের অপসারণের মধ্য দিয়ে বিসিবি সভাপতির পদ শূন্য হয়ে গেল। তবে সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিসিবি সভাপতি হওয়া নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর সরকারের বিভিন্ন মহলে পরিবর্তন হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। সে সময় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

মুল্যবান মন্তব্য করুন