site-logo

www.bdedition.com

(অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল)

জাতীয়
ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ, কাল থেকে অফিস খোলা
প্রকাশিত: আরিফুল ইসলাম 14 জুন 2025, 02:42 দুপুর
news-banner

ঈদুল আজহার ছুটির আনন্দ নিয়ে কেউ ফিরছেন একা, কেউবা আবার সপরিবারে। কিন্তু রাজধানীতে ফেরার যাত্রা যেন অনেকের জন্য হয়ে উঠেছে এক দুঃস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।

শনিবার ( ১৪ জুন) সকাল থেকে ঢাকার প্রবেশপথগুলো যেন রূপ নিয়েছিল ফিরে আসার উৎসবে, তবে সেই উৎসবে ছিল না কোনও সুশৃঙ্খলতা—ছিল শুধু চাপ, ক্লান্তি আর অতিরিক্ত ভাড়া।

ভোর হতেই সদরঘাটে নেমে আসে ঢল। নদীপথে রাজধানীতে ফেরা যাত্রীরা হিমশিম খাচ্ছেন পকেট কাটার ভাড়ায়। অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “ঈদের সময় এমনিতেই খরচ বেশি থাকে, তার ওপর ফেরার সময় ভাড়া পাঁচ গুণ—এটা কি ন্যায্য?”

সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলী—সব টার্মিনালেই দৃশ্য এক। গন্তব্যে ফিরতে মানুষের বিশাল ভিড়। অনেকে দাঁড়িয়ে, কেউবা লাগেজে বসে, আবার কেউ ছোট সন্তান কোলে নিয়ে অপেক্ষা করছেন পরবর্তী পরিবহনের। বাস থেকে নেমে কেউ হাঁফ ছেড়ে বলছেন, “ফেরাটা আনন্দের হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ছিল শুধু ধকল আর অনিশ্চয়তা।”

কমলাপুর রেলস্টেশন যেন যেন ঈদের ফিরতি ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। একেকটি ট্রেন থেকে নামছে শত শত মানুষ। দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তিতে ভরা মুখ, কিন্তু ঢাকায় ফেরা নিয়ে তাদের মনে রয়েছে স্বস্তিও। যদিও অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ট্রেন দেরি করেছে, টিকিট না পেয়েও অনেকে জোর করে উঠে এসেছেন ট্রেনে।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা যায়—ঈদের আনন্দ যতটা পরিকল্পিত, ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফেরা তার চেয়েও বেশি অনিয়ন্ত্রিত। বাড়তি ভাড়া, পরিবহন সংকট এবং বিশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে।

এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রশ্ন উঠছে—প্রতি বছর একই চিত্র কেন? কেন আগেভাগে কোনো সমন্বয় থাকে না?