site-logo

www.bdedition.com

(অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল)

আন্তর্জাতিক
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আবারো মুখ খুললো ভারত
প্রকাশিত: আরিফুল ইসলাম 04 জুলাই 2025, 11:49 রাত
news-banner

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিংহ জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের সময়ে তিন প্রতিপক্ষের মোকাবেলা করতে হয়েছে ভারতকে। দু’টি দেশ পাকিস্তানকে সহায়তা করছিল। সেজন্য প্রতিবন্ধকতা আরো বেড়ে গিয়েছিল।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বৃহষ্পতিবার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, সীমানা একটা কিন্তু ‘শত্রু’ তিন দেশ। সিঁদুর অভিযোনের সময় সেনা কর্মকর্তারা কিভাবে পাকিস্তানের ভিতরে ন’টি সন্ত্রাসীঘাঁটি চিহ্নিত করেছিলেন,কীভাবে সেখানে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন জেনারেল রাহুল।

রাহুল বলেছেন, ‘আমাদের সামনে একটা সীমানা ছিল। প্রতিপক্ষ ছিল দু’জন, আসলে তিনজন। পাকিস্তানই সামনে ছিল। তাদের সব রকম সাহায্য করছিল চীন। পাকিস্তানের ৮১ শতাংশ মিলিটারি হার্ডঅয়্যার ও অস্ত্র চীন থেকে আসে। আসলে পাকিস্তানের মাধ্যমে নিজেদের অস্ত্রের শক্তিপরীক্ষা করে নেয় চীন। পাকিস্তানকে ওরা লাইভ ল্যাব (গবেষণাগার) হিসাবে ব্যবহার করে।’

পাকিস্তান ও চীন এরপর তৃতীয় প্রতিপক্ষ হলো তুরস্ক। সেনাকর্মকর্তার কথায়, ‘পাকিস্তানকে সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল তুরস্কও। যখন ডিজিএমও স্তরের আলোচনা চলছিল, আমাদের অনেক খবর পাকিস্তান পেয়ে যাচ্ছিল চীন থেকে। আমাদের আরো শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন।’

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সাল থেকে পাকিস্তানে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে চীন। ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অস্ত্র রফতানিকারক দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে চতুর্থ স্থানে ছিল তারা। এই রফতানির ৬৩ শতাংশই গিয়েছিল পাকিস্তানে। পাকিস্তান যে যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করে, ভারতের সাথে সংঘাতের সময়ে যেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তার অধিকাংশও চীন থেকে এসেছে।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মিরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাতে পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারত। ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানে সেনা অভিযান চালানো হয়, যার নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। টানা চার দিন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। তারপর ১০ মে যুদ্ধবিরতি সম্মত হয় দু’পক্ষ। তবে এখনো দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তলানিতে।

যুদ্ধবিরতির অনেক পরে একটি বিদেশী সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সময়ে ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক (চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধের সময় ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল। তবে কতগুলো? তা স্পষ্ট করেননি তিনি। এবার আরো এক সেনাকর্তা ভারত-পাক সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন।