
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তি না করলে ইসরাইলি হামলা হতে পারে বলে ইরানকে সতর্ক করেছে সৌদি আরব। গত মাসে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তেহরানে ইরানি কর্মকর্তাদের কাছে এই সতর্ক বার্তা পৌঁছান।
বার্তায় ইরানকে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, এটিকে গুরুত্বের সাথে নিন। এটি ইসরাইলি হামলা এড়ানোর একটি উপায় হতে পারে।
এই বার্তাটি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ তার ছেলে প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের মাধ্যমে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে পাঠান। সরকারি মহলের ঘনিষ্ঠ দুটি উপসাগরীয় সূত্র এবং দুই ইরানি কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এই বার্তাটি গত এপ্রিল মাসে ১৭ তারিখে পৌঁছানো হয়। তখন সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ তেহরানের প্রেসিডেন্সি ভবনে অনুষ্ঠিত এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এই বার্তা দেন। সেখানে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি উপস্থিত ছিলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, গণমাধ্যমে প্রিন্স খালেদের সফরের কথা প্রচারিত হলেও এই গোপন বার্তার কথা প্রচারিত হয়নি।
রয়টার্সকে সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ওয়াশিংটনে সৌদি রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন প্রিন্স খালিদ। তিনি ইরানি কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেছিলেন যে দীর্ঘ আলোচনার জন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের ধৈর্য কম। সেজন্য সেভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অপ্রত্যাশিতভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে তেহরানের সাথে সরাসরি আলোচনা চলছে। এর মাধ্যমে বিহিত হলে তাদের উপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হতে পারে। ওই সময় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে ছিলেন। তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য সমর্থন আদায়ে সেখানে গিয়েছিলেন।
সূত্র : রয়টার্স