site-logo

www.bdedition.com

(অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল)

আন্তর্জাতিক
মৃত্যুবার্ষিকীতে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে জোড়া আক্রমণ মোদির
প্রকাশিত: 27 মে 2025, 09:13 রাত
মৃত্যুবার্ষিকীতে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে জোড়া আক্রমণ মোদির
news-banner

৬১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কঠোর সমালোচনা করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি ও ১৯৪৭ সালে কাশ্মির বিষয়ে নেয়া নেহরুর সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সংবাদ প্রতিদিন জানায়, গুজরাটের গান্ধীনগরের একটি সভায় স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে নেহরুর একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করেন মোদি।

এ সময় তিনি দাবি করে বলেন, ভারতের স্বার্থের কথা ভাবলে খুব খারাপভাবে হয়েছিল সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি। তা ছাড়া ১৯৪৭ সালে যে ‘মুজাহিদিনরা’ কাশ্মিরে ঢুকে পড়েছিল, তখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আজকের এই পরিস্থিতি তৈরিই হত না।

মোদির দাবি, এই চুক্তি ভুলভাবে হয়েছিল। যদিও ঠিক কী ধরনের ভুল হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করেননি তিনি।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর সর্দার বল্লভভাই পটেলের কথা শোনা হলে পাক অধিকৃত কাশ্মিরে থাকা ‘সন্ত্রাসী’দের বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নেয়া যেতো। আর পাক অধিকৃত কাশ্মির ভারতের অংশ হতো। এর ফলে দশকের পর দশক ধরে চলা পরিস্থিতি তৈরিই হতো না।

১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি অনুসারে, ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে সিন্ধুর পূর্বের তিন উপনদী— বিপাশা (বিয়াস), শতদ্রু (সাটলেজ) এবং ইরাবতীর (রাভি) পানি। এ ছাড়া সিন্ধু ও তার দুই উপনদী— বিতস্তা (ঝিলম), চন্দ্রভাগার (চেনাব) পানির ওপর থাকবে পাকিস্তানের অধিকার। এই নদীগুলো ভারতের দিক থেকে পাকিস্তানের দিকে বয়ে যায়। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল নেহরু ও পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের মধ্যে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৭ মে) নেহরুর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে একটি মাত্র লাইন লিখে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন—‘আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।’

এদিন নেহরুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, পশ্মিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।