site-logo

www.bdedition.com

(অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল)

জেলার খবর
কুয়াকাটায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ
প্রকাশিত: আরিফুল ইসলাম 13 জুন 2025, 03:49 রাত
news-banner

মৌসুমের শুরুতেই বঙ্গোপসাগর ও তার মোহনা সংলগ্ন জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশসহ নানা সামুদ্রিক মাছ। স্থানীয় বাজারগুলোতে দেখা মিলছে প্রচুর ইলিশের। দীর্ঘ ৫৮ দিন পর ডিঙ্গি নৌকা ও ছোট ট্রলার নিয়ে সাগরে যাওয়া অনেকেই ফিরেছেন কাক্সিক্ষত মাছ নিয়ে। মাছ ভর্তি যান্ত্রিক নৌযান কিংবা মাছ ধরার (ফিশিং) ট্রলার নিয়ে জেলেরা গভীর সমুদ্র থেকে হাসিমুখে ফিরছেন। আবার অনেকে মাছ ধরার জন্য ছুটছেন সাগরপানে।

এতে উচ্ছ্বসিত জেলেরা। তবে গভীর সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া অধিকাংশ ট্রলার এখনো ফিরেনি তীরে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এসব জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ার আশা করছে মৎস্য বিভাগ। তবে এখন ইলিশের ছড়াছড়ি দেখে অবাক ক্রেতারা। বাজারে চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক, দামও ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে।

এ বছর প্রথম ভারতের সাথে মিল রেখে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। উপকূলের ৫৮ দিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় সামুদ্রিক ৪৭৫ প্রজাতির মাছের প্রজনন ভালো হয়েছে বলে জানায় মৎস্য বিভাগ।

মৎস্য বিভাগ বলছে, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা সব ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেদের অবরোধ পালন ফলপ্রসূ হয়েছে। ইলিশের পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে ধরা পড়েছে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ।

সরেজমিন দেখা যায়, অবতরণকেন্দ্র মহীপুর-আলীপুর, কুয়াকাটা, ঢোস আড়তদার ও মাছ ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুরসত নেই। কেউ মাছের ঝুড়ি টানছেন, কেউ প্যাকেট করছেন, আবার কেউ কেউ সেই প্যাকেট দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে তুলে দিচ্ছেন ট্রাকে।

কুয়াকাটার জেলে রফিক মাঝি বলেন, কুয়াকাটা থেকে ৪০-৪৫ কিমি দক্ষিণে জাল ফেলি আবার সকালে ঘাটে ফিরে আসি প্রায় ৪০ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানায় আশানুরূপ মাছ নিয়ে কিনারে আসছে। আজকে যেসব জেলেরা ঘাটে আসছে তারা সমুদ্র কিনারায় জাল ফেলে ভালো মাছ নিয়ে আসছে।