site-logo

www.bdedition.com

(অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল)

জেলার খবর
কোরবানির জন্য প্রস্তত ১৩ লাখ টাকা দামের ‘কালো পাহাড়
প্রকাশিত: আরিফুল ইসলাম 28 মে 2025, 03:36 দুপুর
news-banner

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লালনপালন করা হচ্ছে উন্নত জাতের গরু। শখ করে পশুগুলোর সুন্দর সুন্দর নামও রাখা হচ্ছে। তেমনিই চট্টগ্রামে মীরসরাইয়ের মায়ানী ইউনিয়নের ‘হাজি অ্যাগ্রো’তে প্রস্তত করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরু ‘কালো পাহাড়’।

শখের বশে একটি গরু লালনপালন করেছিলেন মো: আশরাফ উদ্দিন। সেই শখের খামারে এখন ছোট বড়, দেশী-বিদেশী ও গাভি মিলে অন্তত ৪০টি গরু রয়েছে। সাড়ে তিন বছর বয়সী চার দাঁতের গরুটি শখ করে লালন পালন করেছেন তিনি। আর শখের বশে তার নামও রাখলেন ‘কালো পাহাড়’। কোরবানি ঈদকে ঘিরে অনেক যত্নে দেশীয় ও প্রাকৃতিক উপায়ে লালনপালন করেছেন এই খামারি।

ঈদকে সামনে রেখে খামারটিতে চলছে গরু মোটাতাজা করণের প্রস্তুতি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটা তাজা করছেন হাজি অ্যাগ্রো নামের এই প্রতিষ্ঠানটি। ‘কালো পাহাড়’কে দেখতে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন ক্রেতা, ব্যাপারী ও সাধারণ মানুষরা আসছেন। ৯০০ কেজি ওজনের এই কালো পাহাড়ের বাজার দাম হাঁকা হয়েছে ১৩ লাখ টাকা।

জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রদর্শনীতে আয়োজিত মেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে হাজি এগ্রোর ফ্রিজিয়ান জাতের এই ‘কালো পাহাড়’। বিভিন্ন ধরনের কাঁচা ঘাস, শুকনো ঘাস, খৈল, ভুট্টা, ভুসি, ডাল, আলু ও চাউলের কুড়া দিয়ে মোটাতাজা করছেন খামারি আশরাফ। ফ্রিজিয়ান ও শাহীওয়ালসহ দেশী-বিদেশী, ২০টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের গাভীও রয়েছে খামারে।

খামারটির ম্যানেজার নাজিম উদ্দিন জানান, ‘আমাদের খামারটিতে কোরবানির ঈদের জন্য ২০টি দেশী-বিদেশী গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে গরুগুলো মোটাতাজা করছি। এখানে দেশীয় কাঁচা ও শুকনো ঘাস, চাউলের কুড়া, গম, ভুট্টা, খৈল, আলু খাইয়ে মোটাতাজা করছি। পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক জায়গায় প্রাকৃতিক আবহে বেড়ে উঠেছে।’

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ‘কালো পাহাড়’ নামের গরুটি পরিচর্যা করছেন হাজি এগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো: আশরাফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালে শখের বসে একটি অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরু কিনে আনি। গরু লালনপালন করতে ভালোলাগে। এর পাশাপাশি আরো কিছু গরু যোগ করে একটি খামার গড়ে তুলি।

গত বছর কোরবানির ঈদের বাজারে কয়েকটি গরু বিক্রি করলেও এই গরুটি বাজার দাম না পাওয়ায় বিক্রি করিনি। তবে এবার উপজেলার সব চাইতে বড় বাজার আবুতোরাব বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে তোলা হবে শখের ‘কালো পাহাড়’কে। ৯০০ কেজি ওজনের এই গরুটির দাম নির্ধারণ করেছি ১৩ লাখ টাকা।

আশা করছি, কোরবানির বাজারে গরুটি বিক্রি করতে পারব। ইতোমধ্যে কয়েকজন ক্রেতা যোগাযোগ করেছেন। এছাড়া খামারে সব মিলিয়ে ৪০টি গরু আছে। তার মধ্যে কোরবানির জন্য ২০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে আশানুরূপ দামে বিক্রি করতে পারব বলে মনে করি।