
কলারোয়ায় ইজিবাইক চালক হাসান আলী হত্যা ও ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রাম থেকে ঘাতক ইব্রাহিম (৩৬) কে আটক করেছে থানা পুলিশ। সেই সাথে গদখালী ইউনিয়নের উত্তর নবীনগর এলাকা থেকে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হাসান আলী (৫০) যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালী গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে এবং ঘাতক ইব্রাহিম হোসেন একই উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রামের মৃত মুজিবর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, গত ১১ জুলাই কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের ইলিশপুর গ্রামে ইট ভাটার সামনে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের একটি কালভার্টের নিচ থেকে ইজিবাইক চালক হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় একইদিন বিকালে নিহতের ছেলে বাবলুর রহমান বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, মামলা দায়ের করার পর সাতক্ষীরা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে, তিনি নিজে ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিকুঞ্জ রায়ের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম সড়কের বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ঝিকরগাছা উপজেলা থেকে হত্যাকারী ইব্রাহিম হোসেনকে ইজিবাইকের চাবিসহ গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধার করেন। গতকাল ১৪ জুলাই ঘাতক ইব্রাহিমকে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।ও
ওসি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, যশোরের নাভারণ এলাকা থেকে ঘুমের ঔষধ কিনে কোমল পানিও স্পিড এর বোতলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চালক হাসানকে অজ্ঞান করে। পরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পা বেঁধে মরদেহ কালভার্টের নিচের পানিতে ফেলে দেয়। হত্যার কারণ হিসেবে ঘাতক দাবি করেন, এলাকায় সে অনেক ঋণ হয়ে গেছে। ঋণ পরিশোধ করতে সে ইজিবাইক ছিনতাই করার জন্য এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।
ওসি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, যশোরের নাভারণ এলাকা থেকে ঘুমের ঔষধ কিনে কোমল পানিও স্পিড এর বোতলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চালক হাসানকে অজ্ঞান করে। পরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পা বেঁধে মরদেহ কালভার্টের নিচের পানিতে ফেলে দেয়। হত্যার কারণ হিসেবে ঘাতক দাবি করেন, এলাকায় সে অনেক ঋণ হয়ে গেছে। ঋণ পরিশোধ করতে সে ইজিবাইক ছিনতাই করার জন্য এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে।