site-logo

www.bdedition.com

(অনলাইন বাংলা নিউজ পোর্টাল)

আইন ও আদালত
মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড: চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড শুরু শনিবার
প্রকাশিত: আরিফুল ইসলাম 05 জুলাই 2025, 12:06 রাত
news-banner

কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার চার আসামিকে শনিবার (৫ জুলাই) রিমান্ডে তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হচ্ছে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।

রুহুল আমিন বলেন, ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলায় গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সুমনসহ চারজনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শনিবার তাদেরকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

আমাদের বিশ্বাস জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, ‘নারীকে পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার মাস্টারমাইন্ড মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই শাহ পরানকে গবৃহস্পতিবার কুমিল্লার বুড়িচং এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তিনি এখনো ঢাকায় র‌্যাব হেফাজতে রয়েছেন। আমাদের হাতে এখনো তাকে হস্তান্তর করা হয়নি।’

রুহুল আমিন জানান, ফজর আলীর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার হাত-পায়ের চারটি স্থানে হাড় ভাঙা রয়েছে। তার সেরে উঠতে সময় লাগবে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

সুস্থ হওয়ার পর তাকে আদালতে নেয়া হবে।

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২-এর উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বড় ভাই ফজর আলীর সাথে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাই শাহ পরানের পরিকল্পনায় বিবস্ত্র নারীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।’

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে এক নারীকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হন। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ভুক্তভোগী নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন শুক্রবার (২৭ জুন) মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ফজর আলীকে ২৮ জুন ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এছাড়া পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সুমন, রমজান আলী, মো: অনিক ও মো: আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। সবশেষ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার বুড়িচং এলাকা থেকে র‌্যাব-১১ ফজর আলীর ছোট ভাই শাহ পরানকে গ্রেফতার করা হয়।