
ফেসবুক লাইভে এসে আলোচনায় আসে সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না। তবে এবার স্বামীর সাথে ফেঁসে যাচ্ছেন হঠাৎ আলোচনায় আসা তামান্না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়াসহ পাঁচজনকে হত্যা মামলায় তামান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালত।
সন্ত্রাসীদের পাল্লা এবার হালকা হওয়া শুরু করেছে। একে একে ধরা পড়ছে কুখ্যাত সব নাম। পরিস্থিতি বলছে ধীরে ধীরে অন্যায়কারীদের দিন ফুরিয়ে এলো। সে ধারাতেই এবার কুখ্যাত এক সন্ত্রাসীর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তামান্না জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল পাঁচটি হত্যা মামলায় তামান্নাকে গ্রেপ্তার দেখানোর। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের চান্দগাও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন জানান, আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই, ৩ আগস্ট ও ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা চবি শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া, ফজলে রাব্বী, সায়মান মাহিন, তানভীর সিদ্দিকী ও শহিদুল ইসলাম শহীদকে গুলি ও নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। তদন্তে তামান্নার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়েছে।
এর আগে গত ১১ মে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বারৈইপাড়া থেকে তামান্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রথমে তাকে বাকলিয়া থানার জোড়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর চেষ্টা করা হলে, তামান্না হাইকোর্ট থেকে প্রাপ্ত জামিনের নথি পুলিশকে দেখান। পরে তাকে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় স্থানান্তর করা হয় এবং ১২ মে ৩০ দিনের রিমান্ডে রেখে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানেই আটক রয়েছেন তিনি।
ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর গত ৮ এপ্রিল, রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ছোট সাজ্জাদকে রাউজান ও বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় মাইকিং করে ঘোরানো হয়। এতে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ ও ‘অপমানজনক আচরণ’ এর অভিযোগ করে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তামান্না।