সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি ট্রেনের দরজার বাইরে ঝুলে রয়েছেন। কেউ একজন ট্রেনের ভেতর থেকে তার হাত ধরে আছে। ঝুলে থাকা লোকটি প্রাণে বাঁচার জন্য আর্তনাদ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভেতর থেকে হাত ছেড়ে দিলে লোকটিকে রেললাইনে পড়ে যেতে দেখা যায়। তিনি বেঁচে আছেন।
জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম মতিউর রহমান (৪০)। বাড়ি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল গ্রামে। তিনি দূতাবাস এবং এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কাজ করেন।
মতিউর রহমানের ছেলে আহসান হাবিব বলেন, আমার বাবা গতকাল দুপুরে বগুড়া থেকে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনে সান্তাহারে আসছিলেন। আসার পথে নসরতপুর রেলস্টেশনে আসার আগে বাবার কামরায় থাকা ১০ থেকে ১২ যুবক বাবাকে মারধর করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে তারা বাবাকে নিচে ফেলে দেন। ট্রেন থেকে রেললাইনে পড়ে গেলেও ভাগ্য বলে ট্রেনের চাকা তার শরীরের ওপর দিয়ে যায়নি। তবে আঘাত লেগে একটা পা ভেঙে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, তার বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর মতিউর রহমান এখন বগুড়ায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় কেউ মামলা নিচ্ছে না বলে দাবি করেন আহসান হাবিব।
তিনি বলেন, আদমদীঘি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সান্তাহার জিআরপি পুলিশ স্টেশনে যোগাযোগ করতে বলে। গতকাল রাতে সান্তাহার জিআরপি পুলিশ স্টেশনে গেলে সেখানেও কোনো মামলা নেয়া হয়নি।