ফিলিস্তিনের জেরুসালেমে অবস্থিত পবিত্র আল-আকসা মসজিদে শুধুমাত্র মুসলিমদের নামায ও অন্যান্য ইবাদত করার অনুমতি রয়েছে। ১৯৬৭ সালে আরব যুদ্ধের পর ইসরাইল জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদ দখল করে। এরআগে জেরুসালেমের এ পবিত্র মসজিদটি জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। টাইমস অব ইসরাইল ।
জেরুসালেম ইসরাইল দখল করলেও জর্ডানের ওয়াকফ বোর্ডই মসজিদটি পরিচালনা করছিল। এতে করে জেরুজালেম ইসরাইলীদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সেখানে কোনো ইহুদি প্রার্থনা করতে পারত না। যা নিয়ে স্থিতিতাবস্থা বা চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তি ১৯৬৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কার্যকর আছে।
তবে দখলদার ইসরাইলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির গতকাল সোমবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, এখন থেকে ইহুদিরা আল-আকসায় সেজদা দেওয়াসহ সব প্রার্থনা করতে পারবে।
গতকাল সোমবার কথিত জেরুসালেম দিবস উপলক্ষে ব্যাপক পুলিশ উপস্থিতির মধ্যে আল-আকসায় জড়ো হতে থাকে ইহুদিরা। এ সময় সেখান যান ইতামার বেন গিভির।
ইহুদিরা আল-আকসা মসজিদকে টেম্পল মাউন্ট হিসেবে অভিহিত করে। দখলদারদের এ মন্ত্রী সেখানে গিয়ে বলেন, “আজ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। টেম্পল মাউন্টে প্রার্থনা করতে পারা সম্ভব হয়েছে। আমরা ঈশ্বরকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই।” এই দখলদার আরও বলেন, “আমরা এখানে জিম্মিদের এবং গাজায় আমাদের জয়ের জন্য প্রার্থনা করতে এসেছি।”
উগ্রবাদী বেন গিভিরের রাজনৈতিক দলের নেতা ও ইসরাইলী পার্লামেন্টের সদস্য জাভি সুক্কতও আল-আকসায় গিয়েছিলেন। এই দখলদার সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি ইসরাইলের একটি পতাকা নিয়ে হাঁটছেন। ওই সময় এই দখলদারকে বলতে শোনা যায়, “টেম্পল মাউন্ট (আল-আকসা) এখন আমাদের হাতে”।
ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর আল-আকসায় বেন গিভিরের তা-ব চালানো নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে বেন গিভিরের প্রতি এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বিরক্তি প্রকাশ করেছিল। এমনকি ইসরাইলী সেনাবাহিনীও তার কর্মকা- নিয়ে সতর্কতা দিয়েছিল। তারা বলেছিল, আল-আকসা মসজিদ নিয়ে বেন গিভির এমন করতে থাকলে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে।