নেতানিয়াহুর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ট্রাম্পের

আরিফুল ইসলাম , প্রকাশ:10 মে 2025, 04:26 দুপুর
news-banner

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরাইলি আর্মি রেডিওর এক সাংবাদিক।

শনিবার (১০ মে) ইসরাইলি গণমাধ্যম ও তুর্কী বার্তাসংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সির সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে বাসস।

আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি আর্মি রেডিওর সাংবাদিক ইয়ানির কোজিন গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় বলেছেন, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা ইসরাইলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমারকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ তিনি মনে করেন, নেতানিয়াহু তার সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে ফায়দা লুটছেন।

ইসরাইলি একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে রিপাবলিকান নেতাদের সাথে আলোচনায় ইসরাইলি মন্ত্রী ডারমারের আচার-ব্যবহার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনদের কাছে ‘ঔদ্ধত্য ও অসহযোগিতাপূর্ণ’ বলে মনে হয়েছে।

পরিচয় গোপন রাখা ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্পের আশপাশের লোকজন তাকে বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে ব্যবহার করছেন।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘ট্রাম্পকে একটা বিষয় সবচেয়ে বেশি ক্ষেপিয়ে তোলে, যখন কেউ তাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে। এ কারণেই তিনি নেতানিয়াহুর সাথে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।’

এ নিয়ে সাংবাদিক কোজিন জানান, ইরান ও ইয়েমেনের হাউছিদের বিষয়ে ইসরাইলি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না দেয়াও নেতানিয়াহুর সাথে সম্পর্কের অবনতির একটি অন্যতম কারণ। এছাড়া গাজার বিষয়ে নেতানিয়াহুর সরকার কোনো স্পষ্ট প্রস্তাব দিতে না পারায় ট্রাম্প প্রশাসনের অসন্তোষ আরো বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন ইসরাইলি আর্মি রেডিওর ওই সাংবাদিক।

ইসরাইলের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দী চুক্তি করতে ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্র চায় গাজায় হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধ হোক।

এদিকে ইসরাইলের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হারেৎজ গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, ইসরাইলকে হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যদি তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী হামাসের সাথে তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি না করে তাহলে তাদেরকে একা ছেড়ে দেয়া হবে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র আর পাশে থাকবে না।

মুল্যবান মন্তব্য করুন