গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় চার জনের মৃতদেহ সদর হাসপাতালে এসেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নিহতদের মধ্যে দুজন হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮) এবং বাকি দুইজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। আমি আমার সন্তানকে কোথায় পাব?’
নিহত দীপ্ত সাহার চাচা হাসপাতালে গণমাধ্যমকে বলেন, দীপ্ত দুপুরের খাবার খেয়ে তাঁর দোকানে যাচ্ছিলেন। শহরের চৌরঙ্গীতে তাঁর পেটে গুলি লাগে।
গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস গণমাধ্যমকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জানান, এখন পর্যন্ত চার জনের মৃতদেহ হাসপাতালে এসেছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের অস্ত্রোপচার চলছে।
ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেকে চিকিৎসা নিলেও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।