ফেঁসে যাচ্ছেন এনবিআরের ১৬ শীর্ষ কর্মকর্তা

আরিফুল ইসলাম , প্রকাশ:04 জুলাই 2025, 11:58 রাত
news-banner

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আরও পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ ও জ্ঞাত আয়ব‌হির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন—ঢাকা পূর্বের কমিশনার (কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট) কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থলবন্দরের কমিশনার কামরুজ্জামান, উপ-কর কমিশনার (সার্কেল ৭) মামুন মিয়া, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আয়কর গোয়েন্দা ইউনিট) সেহেলা সিদ্দিকা ও কর অঞ্চল-২-এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ।

এই পাঁচ জনসহ মোট ১৬ এন‌বিআর কর্মকর্তার বিরু‌দ্ধে দুদ‌কের অনুসন্ধান চল‌ছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এর আগে, সম্প্রতি কর আদায়ে ঘুষ গ্রহণ, কর ফাঁকির সুযোগ দেওয়া এবং হয়রানির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন—এনবিআর সদস্য লুৎফুল আজীম, ভ্যাটের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) অতিরিক্ত কমিশনার আবদুর রশীদ মিয়া, কর গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, কর অঞ্চল-১৬-এর উপকর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম ও এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান।

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তর কথা জানায় দুদক। যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্য।

ওই ছয় কর্মকর্তা হলেন—এনবিআরের সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, অতিরিক্ত কর কমিশনার (কর অঞ্চল-৮, ঢাকা) মির্জা আশিক রানা, যুগ্ম কর কমিশনার (বিসিএস কর একাডেমি) মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান, উপ-কর কমিশনার (কর অঞ্চল-১৬, ঢাকা) মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, অতিরিক্ত কমিশনার (নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মূল্য সংযোজন কর, ঢাকা) হাছান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার, (কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা, দক্ষিণ) সাধন কুমার কুণ্ডু।

মুল্যবান মন্তব্য করুন