বাগেরহাটের রামপালে রাস্তার পাশে ফেলে ১৫ বছর বয়সি শিশুকে নির্যাতনের মামলায় গ্রামপুলিশসহ ৫ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার (৩ মে) বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৩ বিচারক মো. পনির শেখ এ আদেশ দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মল্লিকেরবের ইউনিয়নের মল্লিকের গ্রামের ছরোয়ার হাওলাদার ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম, গ্রামপুলিশ নাসিম শেখ, কেরামত হাওলাদার ও মাহদুম আলী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ২১ জুলাই সকালে মল্লিকেরবের গ্রামের রাস্তা থেকে চুরির অপবাদ দিয়ে ইয়াছিন আরাফাতকে ধরে রাস্তার পাশে ফেলে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করেন গ্রামপুলিশ নাসিমসহ অন্যরা। ওই দিন বিকালে ইয়াছিন আরাফাতের বাবা ওয়ালিয়ার হাওলাদার গ্রামপুলিশ নাসিম শেখসহ ৫ জনকে আসামি করে রামপাল থানায় মামলা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেলে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে। পরে রামপাল থানা থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। বাদীর জবানবন্দি, সাক্ষীদের সাক্ষ্য, চার্জশিট ও নির্যাতনের ভিডিওচিত্র বিবেচনা করে আদালত এ রায় দেন।
মামলা পরিচালনায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাদাবন বাদীকে সহায়তা করেছেন। বাদাবনের প্যানেল আইনজীবী মোসা. মেহেরুন্নেছা বলেন, একটি শিশুকে বিনা অপরাধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। আদালত আসামিদের দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। মামলার রায়ে আমরা খুশি।
এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির।